সুবাইতাকে লেখা কবিতাগুলো জুবায়ের দুখু
![]() |
ছবিতে— আমি ও সুবাইতা। |
১৪
বসে থাকি গাছে হেলান দিয়া
নাকি গাছই দেয় হেলান
চোখের সামনে দুপুর থাকে নাচতে
আমি গুনি পা
পা নয়, তোমার আঙুল দেখতে ভালো লাগে
তাই তাকিয়ে থাকি,
থাকি জ্যোৎস্নায় যেমন
আমাদের চিঠিগুলো ঘুমিয়ে গিয়েছিল—
জানি আয়না; প্রেম অহেতুক চূর্ণ করে
ভ্রান্ত করে, শুকনো পাতারও তো লাগে কামনা
কোনো গাছ, কোনো বসন্ত
জীবনে বয়ে দিয়ে যাক উর্বর হাওয়া।
১৪
তুমি কোন বাস দিয়া আসো
বাসা থেকে ভার্সিটি?
পথে তো অনেকগুলো গাছ
আমার মতোই পারে না কথা কইতে—
কেবলই চেয়ে থাকা
উচ্চারণ করা
হে নিরবতা
হে নিরবতা।
এসব বাক্যের বাতাসচক্রে
তোমার চুল ওড়ে?
১৪
আমাদের কথা বলার আগেই
কথা নাই হয়ে গেল—
ঘিঞ্চি লাগা গলিতে বিধাতা আমার
এই দশ আঙুল
ভাগ্যের চটপটি খাইতে চায়।
জানি ওই গলিতে পড়ো
আমার বুকের উপর পা
পায়ের উপর তুমি—
আমিতো চৌরাস্তা নই সোনা
বনকড়ইয়ের পাতা না ঝরে
দিনমান
বারিধারাজুড়ে
তোমার অবহেলা।
১৪
অদূর পাড়াগাঁয়ে গিয়া
বসে থাকি
শালা শুয়োর পিছু ছাড়ে না।
সোনা এই যে হাত
আমলকী পাতার মতো দোলে
তোমারে কই
আমাদের জ্যোৎস্নায়
যে চাঁদ উঠে আসার কথা
বয়স বেড়ে ওঠার আগে
৪-মে নেমে আসে।
উঁকি দেওয়া তো দূরকথা
হেরাক্লিতোস
‘অবিরাম যে নিঃশ্বাস বইতে দেয়
নিরীহ হাওয়া।’
মাঝপথে দেখি
অলক্ষ্যে গড়েছি
আদিম নিরবতা।
১৪
পাজর খুলে দেখ
তুমি একটি গাছ
আর পাতা
ঝিরিঝিরি নাচ
আর দুপুর
মাতাল হাওয়ায় গেঞ্জিপেন্ট দোলে—
শেষতক যে ছায়া
একা একা
যায় চলে বহুবনে—
গানে গানে
অনশনে।
১৪
ওপাশে ঘোড়া
এপাশে আমি
আমাদের চোখ
বনস্পতির ছায়া।
সোনা
এই যে চীন
এই যে ভারত
আর আমেরিকা
বাল কইতে জানে
পাকিস্তান—
যারা কয় বাল
তারা খায় মারা
ইগো দেখাইয়ো না
চলো বলি কথা
যৌনতা
মৌনতা
চলো করি ভালোবাসা।
১৪
একদিকে হাওয়া
একদিকে তুমি
যায় বয়ে দূর কত কত কথা।
আমরা তো বলি
চুমুর আলাপ—
ঘাসের যেমন
মেনে নিতে হয়
পায়ের চাপ।
সেসব ণে
ধীর বর্ণে
অ্যাংজাইটি
এঁকে এঁকে যায়
আর্তি বাহাস।
![]() |
এটা একটি কল্পনাময় প্রচ্ছদ— |
Comments
Post a Comment