কবিতা তুমি সবিতা // জুবায়ের দুখু
![]() |
জুবায়ের দুখু এটা তোমার ছবি ৩/৬/২০২৫/ইংরেজিতে তোলা। |
উত্তর থেকে মেঘ জন্মাচ্ছে গান। তখন সদ্য এটো দুপুর তুলেছ তুমি অদ্ভুত যৌবনের দিকে। এপাড়া থেকে ওপাড়া ব্লাউজ পড়া নারীরা বলছে- এলো গাঁয় সোনা বন্ধুর পিরিতের জান। এ কোমলমতি শিশু— পরীক্ষার খাতা থেকে তখনও তুমি উঠাতে পারোনি পাবলিকের খসড়া। সোনা বন্ধুর পিরিতের জান— এঁকেছ এঁকেছ বিষদাঁত?
ওই দূরে লতিফের বাগান— ওই দূরে মরিয়মের তালপাতা— আমি তার সন্তান, বুঝেছ সবিতা সবিতা? এসেছি পোড়া হাত নিয়ে! গালিবের সেই গজলের মতো তোমাকে কুড়াতে। কুড়াতে কুড়াতে জেনেছি, পাতা কেবলই পুড়তে জানে।
এক সন্ধ্যা তখনও আমরা পার করিনি— নিভু নিভু চাঁদ, সোনা আমার— নিভু নিভু চাঁদ উঠেছে গ্রিলের ফাঁকে। আমার তো আঙুল নাই হয়ে যায়— আমার তো কথা নাই হয়ে যায়— পর্বতের দূর দূর ঘরে, কে যেন বাজায় শামুকভাঙা মাগুরের আযান। তারই নিচে মাথা পেতে একশোবার পড়ি— আমাদের পরবর্তী চাঁদ, ইস্কাটনে গড়ে ওঠা ইস্পাতের কারখানায় চাপা পড়ে গেছে।
এতো নয় গালিবের রেওয়াজ— এতো নয় গরিবের রেওয়াজ। শিমুলের চারা বুনেছি বুকে, বসন্ত আসে— আসে মিলনের হাওয়া— এককালীন টাকা তুলে আমারও কিনতে ইচ্ছে করে ‘অমর নীরবতা’। সোনা বন্ধুর পিরিতের জান— বুনেছ বুনেছ সহেলি ফুলের সকাল?
এলোমেলো চুল তখনও পারোনি বাধতে, বুক থেকে ওড়না হাওয়ায় উড়লে— আমি তবু সেই তোমারই ওড়না। বলে পাড়ার লোকে, এলো গাঁয় সোনা বন্ধুর পিরিতের জান। তারই নিচে মাথা পেতে একশোবার পড়ি— আমাদের মুখে কোনোদিন ধানগাছ শালিককে শোনায়নি গান।
তাই বলে যাবে? হারুনের বেটিটার মতো— হাসির মুখ পেলে, বুকের মানচিত্র না চিনে? বলতো বলো— কার আছে এই ভাঙা ভাঙা টান— প্রেমের অভিমান? সে তো সেই ম্লান তোমারই ছায়া— যার পিছে গেছে তরুণ বিকেল, তরুণ কবিতা।
ঘোড়াগুলো চেনো? তোমারইতো ভাই, ছুটে ছুটে যায়— বলছি না তাই— আমিও যে রাখাল, তোমাকে চড়াই, তোমাকে গড়াই।
Comments
Post a Comment